
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ১০ মাস পরেও বন্ধ হয়নি তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগ। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলে যেমন বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কল-কারখানায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে তা এখনও চলছে। আবার চাহিদার তুলানায় গ্যাস সরবরাহ কম দেখিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে। তিতাসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিতাসকে দুর্নীতিমুক্ত করতে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লাহর চুক্তি বাতিল করে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। এর পর গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজকে তিতাস গ্যাসে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে সরিয়ে দিলেও এখনও বেশিরভাগ অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা স্বপদে বহাল রয়েছে। ফলে এমডি ও কয়েকটি চেয়ার পরিবর্তন হলেও অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে না।
তিতাস সূত্রে জানা যায়, স্বৈরাচার সরকারের আমলে সাবেক এমডি হারুন উর রশিদ মোল্লা ও সাবেক ডিএমডি (বর্তমানে জিএম অপারেশন) সাইদুল হাসানসহ তাদের ছত্রছায়ায় থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরাসরি অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত। তারা বিভিন্ন কারখানা, বাসা-বাড়ি ও ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠানে মোটা অঙ্কের টাকায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়েছে। চাহিদার তুলানায় গ্যাস সরবরাহ কম থাকায় গ্যাস সংকটের কারণে অনেক কারখানা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি তারা গ্যাসের সরবরাহের ঘাটতে দেখিয়ে কৃত্রিম সংকট দেখানের চেষ্টা করছে। ফলে এইসব কারখানার মালিকরা অতিরিক্ত দামে সিএনজি ও এলপিজি কিনে কারাখানা চালু রাখছে।
কারখানার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রেয়াজনীয় গ্যাস সরবরাহ না থাকায় তাদের কারখানার নিয়মিত উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। হাজার হাজার শ্রমিকের জীবিকার তাগিদে ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিরি অবনতির আশংকায় তারা কারখানা চালু রাখছে। এ কারণে প্রতিমাসে তাদের মোটা অঙ্কের টাকা লোকসান গুনতে হয়।
এদিকে, শ্রমিকের মজুরি বাড়ায় তৈরী পোশাক শিল্প মালিকরা আর্থিক চাপের মধ্যে পড়েছেন। এভাবে কারখানা চালু রাখা সম্ভব না হওয়ায় বেশকিছু কারখানা ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে একদিকে কারখানায় গ্যাসের অভাবে উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে, অন্যদিকে তিতাসের কিছু দূর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তা-কর্মচারী মোটা অঙ্কের উৎকোচ