
ডেস্ক রিপোর্টঃ সিমেক গ্রুপের চেয়ারম্যান সরদার মোহাম্মদ শাহিন ও তার কোম্পানির বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং সহ জাপানি বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অবৈধ পন্থায় শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে সম্প্রীতি বাংলাদেশ পুলিশ (সিআইডির) বিশেষ টিম অনুসন্ধানে নামে, এবং সর্দার মোঃ শাহিন বরাবর একটি চিঠির মাধ্যমে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অনুসন্ধানের স্বার্থে সকল রেকর্ড পত্র প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেয়। যাহার স্বারক নং- সিআইডি/অর্গানাইজড ক্রাইম/ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম (২৫৩৭)। অনুসন্ধানে জানা যায়ঃ সিমেক গ্রুপের চেয়ারম্যান সরদার শাহিন ও তাহার স্ত্রী (কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান) আফসানা খানম, তাহার শালিকা (কোম্পানির ইডি) ফোয়ারা ইয়াসমিন, পরিচালক আবুল হোসেন, এবং সকল অপকর্মের সহযোগী মাহাবুবুল ইসলাম ও সুনীল বাবু চক্রটি জাপানের একাধিক নাগরিককে ব্যবসায়িক পার্টনার বানিয়ে অবৈধ পন্থায় বাংলাদেশে হুন্ডির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে নিয়ে আসে। এবং হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে শত কেটি টাকা পাচার সহ আলিশান বাড়ি গাড়ি করে বিলাসী জীবন যাপন করছেন। এখানেই শেষ নয় জাপানি নাগরিককে জমির মূল্য অধিক দেখিয়ে জমি বিক্রি করে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এই চক্রের বিরুদ্ধে। এতে জাপানি বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট সহ দেশের অর্থ খাতের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন হয়েছে। জানা যায় এর আগে এমন অপকর্মের কারণে সরদার শাহিনের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে মানে লন্ডারিং এর অভিযোগ দায়ের করা হয়। এমন কার্যকলাপে দেশের প্রচলিত আইন অমান্য করে বিনিয়োগ বোর্ডের অনুমোদন উপেক্ষা করে অবৈধ পন্থায় টাকা এনে এই চক্রটি দেশের ক্ষতি সাধন করছে প্রতিনিয়ত। এছাড়া সম্প্রতি জাপানী এক ব্যবসায়ী তার বিনিয়োগ মূলধন ফেরত পাওয়ার জন্য বিনিয়োগ বোর্ডে সরদার শাহিন ও আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বলে ও জানা গেছে। সূত্রে আরও জানা যায়, সিমেক কোম্পানি পরিচালক আবুল হোসেন উত্তরা এলাকায় তার একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে জমিজমা ক্রয় বিক্রয় করে থাকেন, যেখানে তাকে সহায়তা করেছে হাসিনা সরকারের বেশ কয়েকজন এমপি মন্ত্রীরা। এতে খুব অল্প সময়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যান আবুল হোসেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে টাকা খরচ করে সাধারন মানুষকে বাঁধাগ্রস্তের অভিযোগ রয়েছে আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে বক্তব্য নিতে সিমেক গ্রুপের চেয়ারম্যান সরদার মোঃ শাহিনকে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।